খাঞ্জেলী দীঘি
প্রায় ছয়’শ বছর ধরে বংশ পরমপরায় বসবাস করে আসা মিঠা পানির সর্বশেষ উম্মুক্ত আবাসস্থল বাগেরহাটের হযরত খানজাহান আলী মাজার দীঘি। দুইশ একর আয়তনের বিশাল এই দিঘিটি আধ্যাত্মিক সাধক ধর্মপ্রচারক ও সমর নায়ক হযরত খানজাহান আলী খনন করার পর যাতে কেউ দীঘির সুপেয় পানি নষ্ট করতে না পারে সেজন্য দীঘিতে এক জোড়া মিঠা পানির কুমির ছেড়ে দেওয়া হয়। সেই থেকেই বংশ পরমপর খানজাহান আলী দরগাহ দীঘিতে এই মিঠা পানির কুমির বসবাস করে আসছে। বর্তমানে পুরাতন আমলের একটি পুরুষ কুমিরসহ ২০০৫ সালে ২৪ জুন ভারতের মাদ্রাজ থেকে আনা ৪ টি মিঠা পানির কুমিরের ৩ টি এই দীঘিতে রয়েছে। খানজাহান আলী দরগাহ’র কুমিরের রয়েছে দীর্ঘ কিংবদন্তীর ইতিহাস।
দরগায় দীর্ঘদিন ধরে চলে আসা দর্শনার্থীদের মুরগীই ছিল কুমিরের প্রধান খাবার। বর্তমানে এক শ্রেণীর খাদেমরা কুমিরের এই খাবারের অধিকাংশই বাজারে নিয়ে বিক্রি করার ফলে কুমিরের তীব্র খাদ্যাভাব দেখা দিয়েছে। প্রাকৃতিকভাবে কুমির হিংস্র প্রজাতির প্রাণী হলেও বংশ পরমপরায় এই দরগার কুমির ছিল এর বিপরীত। দর্শনার্থীরা গায়ে হাত বুলিয়ে অনেক সময়ে নিজ হাতে মুখের মধ্যে খাদ্য ঢুকিয়ে দিলেও কুমির কখনও হিংস্রতা দেখায়নি।
কিভাবে যাওয়া যায়
বাগেরহাট জেলা বাস স্ট্যান্ড থেকে বাস, মাইক্রোবাস, সিএনজি, ইজিবাইক/ অটোরিক্সা যোগে খাঞ্জেলী দিঘীতে যাওয়া যায়। ষাট গম্বুজ মসজিদের নিকটেই এর অবস্থান। খান জাহান আলীর মাজারের পাশেই খাঞ্জেলী দিঘী।