কালকেতুর ভোজন

মুকুন্দরাম চক্রবর্তী

 


দূর হৈতে ফুল্লরা বীরের পাল্য সাড়া।

সম্ভ্রমে বসিতে দিল হরিণের ছড়া॥

বোঁচা নারিকেলেতে পুরিয়া দিল জল।

করিল ফুল্লরা তবে ভোজনের স্থল॥

চরণ পাখালি বীর জল দিল মুখে।

ভোজন করিতে বৈসে মনের কৌতুকে॥

সম্ভ্রমে ফুল্লরা পাতে মাটিয়া পাথরা।

ব্যঞ্জনের তরে দিলা নূতন খাপরা॥

মোচড়িয়া গোঁফ দুটা বান্ধিলেন ঘাড়ে।

এক শ্বাসে সাত হাঁড়ি আমানি উজাড়ে॥

চারি হাড়ি মহাবীর খায় খুদ জাউ।

ছয় হান্ডি মুসুরী-সুপ মিশ্যা তথি লাউ॥

ঝুড়ি দুই তিন খায় আলু ওল পোড়া।

কচুর সহিত খায় করঞ্জা আমড়া॥

অম্বল খাইয়া বীর বনিতারে পুছে।

রন্ধন কর‌্যাছ ভালো আর কিছু আছে॥

এন্যাছি হরিণী দিয়া দধি এক হাঁড়ি।

তাহা দিয়া অনড়ব বীর খায় তিন হাঁড়ি॥

শয়ন কুৎসিত বীরের ভোজন বিটকাল।

গ্রাসগুলি তোলে যেন তে আটিয়া তাল॥

ভোজন করিয়া সাঙ্গ কৈল আচমন।

হরীতকী খায়্যা কৈল মুখের শোধন॥

নিশাকাল হইল বীর করিলা শয়নে।

নিবেদিল পশুগণ রাজার চরণে॥

অভয়ার চরণে মজুক নিজ চিত।

শ্রীকবিকঙ্কণ গান মধুর সংগীত॥

Post a Comment

Previous Post Next Post