প্যারাডক্সিক্যাল সাজিদ ২ লেখকঃ আরিফ আজাদ


বইঃ প্যারাডক্সিক্যাল সাজিদ ২
লেখকঃ আরিফ আজাদ
প্রকাশনীঃ সমকালীন প্রকাশন
মূল্যঃ ৩৬৯৳
ইস্যু ফিঃ ১০৳
▂▂▂▂▂▂▂▂▂▂▂▂▂▂▂▂▂▂▂▂▂▂▂▂
প্যারাডক্সিক্যাল সাজিদ সিরিজের প্রথম বইটি অনেকগুলো অবিশ্বাসী যুক্তির বিশ্বাসী উত্তর দিতে সক্ষম হয়েছিল। কিন্তু প্রশ্ন তো আর থেমে থাকে না অবিশ্বাসের, তেমনি বিশ্বাসের উত্তর দেয়াতেও ক্লান্তি আসার কথা না। অন্ধকার থেকে আলোর পথে নিয়ে আসতে আরিফ আজাদের সে প্রচেষ্টার দ্বিতীয় নিদর্শন- প্যারাডক্সিক্যাল সাজিদ ২।
এই এই বই টি নাস্তিকতা বিরোধী বললে ভুল হবে, কারন এবারের বইতে নাস্তিকদের প্রস্নের উত্তরের পাশা পাশি খ্রিস্টান মিশনারিদের কিছু প্রশ্নের উত্তরের পাশাপাশি
কুরআনের কিছু অলৌকিক কিছু ব্যাপার, আর কিছু ভাষা তাত্তিক মিরাকল স্থান পেয়েছে।
এই বইয়ের মূল আকর্ষণ হল এটি কোন প্রচলিত গল্প উপন্যাসের মতো না হয়েও গল্প উপন্যাসের স্বাদ দিচ্ছে পাঠক কে তাই এটি পড়তে কোন বোর হয় না।
পাঠক যে কোন সময় যে কোন অধ্যায় পড়তে পারে এতে বইয়ের মূল আকর্ষণ এর কোন ক্ষতি হয় না ।
বইয়ের অধ্যায় গুলি নিম্নে দেওয়া হল --
১) কুরআন কি নারীদের শস্যক্ষেত্র বলেছে?
২)A Reply to Christian Missionary
৩) ইসলাম কি অমুসলিমদের অধিকার নিশ্চিত করে?
৪) কুরআনে বৈপরীত্যের সত্যাসত্য
৫) বনু কুরাইজা হত্যাকাণ্ড - ঘটনার পিছনের ঘটনা
৬) স্যাটানিক ভার্সেস ও শয়তানের ওপরে ঈমান আনার গল্প
৭) রাসুলের একাধিক বিবাহের নেপথ্যে
8) জান্নাতেও মদ?
৯) গল্পে গল্পে ডার উইনিজম
১০) কুরআন কেন আরবি ভাষায়?
১১) সূর্য যাবে ডুবে
১২) সমুদ্র বিজ্ঞান
১৩) লেট দেয়ার বি লাইট
১৪) কাবার ঐতিহাসিক সত্যতা
১৫) নিউটনের ঈশ্বর
১৬) পরমানুর চেয়েও ছোট
একটা জিনিস যত মিথ্যা ও অযৌক্তিকই হোক না কেন, সেটা বারবার বলতে থাকলে চিন্তার জগতে সেটা একটা বিকৃতি আনেই। একজন ব্যক্তি হয়তো অজাচার বা সমকামিতার মতো বিষয়গুলো মাথায়ই আনতে পারে না। কিন্তু মুক্তবুদ্ধি চর্চার নাম দিয়ে তার সামনে এগুলো বারবার আলোচনা করা হলো। তাকে যদি সেসব বিশ্বাস করতে চাপ প্রয়োগ না-ও করা হয়, ওই বারবার বলাটাই তার মনে একটা প্রভাব ফেলে। পরবর্তীতে নিজের বাবা-মা বা সমলিঙ্গের বন্ধুর সাথে চলাফেরা করতে গিয়ে এসব চিন্তা তার মাথায় অস্বস্তিকর একটা স্ট্রাগলের জন্ম দেয়।
এই চিন্তার ফীল্ডটা দখল করার কাজটা নাস্তিকরা খুব ভালো মতো পারে। তাদের মিথ্যা বিশ্বাসগুলোকেই বারবার নানাভাবে উপস্থাপন করে মন-মগজে এমন একটা ট্রমা তৈরি করে দেয়।
মুসলিমদের মনে এসব ট্রমা সৃষ্টি হলেও তাদের একটা আশ্রয় আছে। প্রতিটা সেজদার সাথে তারা সেসব ট্রমা মাটিতে ফেলে দিতে পারে। কিন্তু অবিশ্বাসীদের ওই আস্থার জায়গাটা নেই। সত্যগ্রহণে প্রস্তুত বুদ্ধিমান অবিশ্বাসীর কথা আলাদা, মূলত এরা এ বই থেকে উপকৃতই হবে। কিন্তু গোঁয়ার অবিশ্বাসীর সামনে একইভাবে আপনি আপনার সত্য বিশ্বাসগুলো তুলে ধরুন, তাদের মিথ্যা যুক্তিগুলো তুলাধুনা করুন, দেখবেন এরা কেমন কুঁকড়ে ছোট্ট হয়ে যায়। অন্ধকার, আশাহীন, স্যাঁতস্যাঁতে, বদ্ধ একটা পৃথিবীতে তারা দেয়ালে মাথা ঠুকে নিরন্তর মারা যেতে থাকে। ভ্লাদিমির-এস্ট্রাগনদের মতো কোনো গডো’র আগমনের আশায় বসেও থাকতে পারে না, মরেও যেতে পারে না। এই বইটাতে সেই কাজগুলো খুব সুচারুভাবে করা হয়েছে।
লেখক সাজিদ চরিত্রকে দিয়ে একটা কথা একাধিক জায়গায় পরিষ্কার করে বলিয়ে নিয়েছেন যে কুরআন বিজ্ঞানের বই না। বিজ্ঞানের সকল খুঁটিনাটি নির্ভুলভাবে উপস্থাপন করা কুরআনের উদ্দেশ্য না। কিন্তু বিজ্ঞানমনস্কদের মনোযোগ কাড়ার জন্য যথেষ্ট এলিমেন্টস এতে আছে। কুরআনের সব আয়াত থেকে জোর করে বিজ্ঞানের সব তত্ত্ব খুঁজে বের করার যে পরাজিত মানসিকতা অনেকের মাঝে আছে, তা থেকে লেখক মুক্ত।
লেখকের আরেকটি অসাধারণ দিক হলো মুক্তিযুদ্ধের কনসেপ্টের ব্যবহার। বইয়ের যে টার্গেট অডিয়েন্স, তাদের কাছে মুক্তিযুদ্ধ খুব গুরুতর একটা ইস্যু। এই কনসেপ্টের সাথে তুলনা করে বোঝালে অনেক বিষয়ই আমরা বাঙালিরা সহজে বুঝতে পারি।
''সাজিদ বলল,'আমি আপনাকে 'রমেশ দা' বলে ডাকতে পারি?'
'অবশ্য পারো' সামনে উপবিষ্ট লোকটি বলল।
'আচ্ছা রমেশ দা,আপনি কি কখনো মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের জীবনী পড়েছেন?'
'তা পড়িনি অবশ্য তবে নানা জনের কাছ থেকে কিছু কিছু ব্যাপারে শুনেছি।'
(রাসূলের একাধিক বিবাহের নেপথ্য,পৃষ্ঠা ১০১)
আরিফ আজাদ আর সাজিদ নাম দুটি পরিপূরক। আরিফ আজাদ নাম এলেই আসে সাজিদের কথা। হ্যা। আরিফ আজাদের 'সাজিদ' সিরিজের দ্বিতীয় বইয়ের নাম 'প্যারাডক্সিক্যাল সাজিদ ২'। প্রকাশের পর পরই নন্দিত পাঠক মহলে ব্যাপক সাড়া ফেলেছে এটি। দ্রুত স্থান করে নিয়েছে বেশি বিক্রি বইয়ের তালিকায়।
বইটিতে মোট ১৬টি গল্প আছে। প্রত্যেকটি গল্প লেখক লিখেছে ভিন্ন ভিন্ন বিষয়ে। সাজিদের সরব উপস্থিতি, গল্প-আড্ডা,যুক্তি-তর্ক গল্পকে করেছে প্রাণবন্ত ও আকর্ষণীয়। সংক্ষেপে বইটির গল্পসমূহের নাম ও আলোচনা।
বইয়ের প্রথম গল্প'কুরআন কি নারীদের শস্যক্ষেত্র বলেছে' শিরোনামের। গল্পে দেখি নীলু দা আর সাজিদকে কোরানের একটি আয়াতের উপর তর্ক করতে। আয়াতটি সূরা বাকারার ২২৩ নাম্বার। যেখানে আল্লাহ বলেছে -নারীরা তোমাদের শস্যক্ষেত্র। নীলু দা এই আয়াতে আপত্তি জানিয়েছে। তিনি বলতে চাই কেন কোরান নারীকে শস্যক্ষেত্রের সাথে উপমিত করে। দাদার এই আপত্তির যৌক্তিক নির্ভরযোগ্য তথ্য দিয়ে জবাব দেয় সাজিদ।একই সাথে গল্পে উঠে এসেছে সেই সময়ের ইহুদি গোষ্ঠীর জাহেলী সংস্কৃতি।
'A Reply to Christian Missionary' এই বইয়ের দ্বিতীয় গল্প।এখানেও লেখক সাজিদ চরিত্র দিয়ে মিশনারিদের মিথ্যা বিভ্রান্তিকর তথ্যের সমুচিত জবাব দিয়েছে। খ্রিস্ট মিশনারিদের একটি প্রোপাগান্ডা হলো ইব্রাহিম আ. ইসমাইল আ.কে কোরবানি দেয় নি বরং ইসহাক আ.কে কোরবানি দিয়েছে। এই ভ্রান্ত তথ্যে প্রভাবিত গল্পের আহসান আংকেল। সাজিদ ইব্রাহিম আ.এর সময় কাল,ঋতু, মক্কায় আগমন ইত্যাদির প্রমাণ দিয়ে বুঝিয়েছে ইসহাক আ. নয়,ইসমাইল আ.-কেই কোরবানি দিতে নেয়া হয়েছে।
'ইসলাম কি অমুসলিমদের অধিকার অনিশ্চিত করে'-এটি বইয়ের তৃতীয় গল্প।এখানে সাজিদ বরাবরের মতো হাজির। ভ্রমণ থেকে আসতে ট্রেনের এক ভদ্র লোকের প্রশ্নের উত্তরে সাজিদ আর লেখক ইসলাম অমুসলিমদের জন্য কি কি অধিকার দিয়েছে তার বর্ণনা দিয়েছে কোরান আর হাদিসের বিভিন্ন রেফারেন্স দিয়ে।
'বনু কুরাইজা হত্যাকাণ্ড-ঘটনার পেছনের ঘটনা',স্যাটানিক ভার্সেস ও শয়তানের ওপরে ঈমান আনার গল্প','রাসূলের একাধিক বিবাহের নেপথ্যে'বইয়ের তিনটি গুরুত্বপূর্ণ গল্প। বনু কুরাইজার হত্যার ঘটনা আর তা নিয়ে নাস্তিকদের আস্ফালনের একটি যথার্থ জবাব; দানব সালমান রুশদীর মিথ্যা বানোয়াট ও শয়তানের কোরান পাঠ, আর ইতিহাসের অগ্রহণযোগ্য কাহিনীর সত্যতা; রাসূল সা.এর একাধিক বিবাহের পিছনে বাস্তবতা,কৌশল আর হিকমার গুরুত্ব -লেখক তুলে এনেছেন গল্প তিনটিতে।
'জান্নাতেও মদ?' 'গল্পে গল্পে ডারউনিজম','কুরআ
ন কেন আরবী ভাষায়','সূর্য যাবে ডুবে','সমুদ্র বিজ্ঞান','লেট দেয়ার বি লাইট','কাবার ঐতিহাসিক সত্যতা','নিউটনের ঈশ্বর','পরামাণুর চেয়ে ছোট'- বইয়ের এই গল্পসমূহে রয়েছে সাজিদের অসম্ভব চিন্তা শক্তি,তর্কের শীতল মেজাজ,ইতিহাসের অনু-পরমাণু নিয়ে সূক্ষ্ম বিশ্লেষণ দক্ষতা, আর অন্যতম একটি বিষয় নাস্তিকদের ধর্ম 'বিজ্ঞান' নিয়ে গভীর পারদর্শীতা। সাজিদ এখানে বিজ্ঞান চেতনার অনেক অজানাকে জানিয়েছে আমাদের যা নাস্তিকতার অগোচরে ঢেকে রাখা হয়। তার মধ্যে নিউটনের ইশ্বর,পরামাণুর চেয়ে ছোট,সূর্য যাবে ডুবে উল্লেখযোগ্য।
.
বইটি বর্তমান শিক্ষিত সংশয়ের ব্যাধিতে আক্রান্ত তরুণদের জন্য খুবি গুরুত্বপূর্ণ। কেউ বইটি যদি একবার পড়ে নেয় তাহলে সংশয়ের যে ব্যাধি তাকে আক্রান্ত করেছে তা থেকে সে অন্যরকম একটি স্বস্তি পাবে ইনশাআল্লাহ।
সমালোচনা:
বইটির আলোচ্য বিষয়সমূহ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু বইটির পাঠ আমার কাছে খুব বিরক্তিকর লেগেছে। এখানে লেখকের দুর্বলতা।তিনি গল্পগুলোকে গল্পের মানে উত্তীর্ণ করতে ব্যর্থ হয়েছে। আরেকটি লক্ষ্যণীয় বিষয় হলো, বইয়ের নাম,বিষয়বস্তুর সূচির মাঝে বৈসাদৃশ্য বিদ্যমান। বিষয়সমূহের শিরোনাম দেখলে মনে হয় যেনো সবগুলো 'প্রবন্ধ'।এরকম লেখা পণ্ডিতমহলে স্থান নিতে ব্যর্থ হবে। বইয়ের পেজের মান উন্নত। বিশেষ আকর্ষণও আছে।প্রচ্ছেদও যথার্থ হয়েছে।
এছাড়া আমার ইসলামি সামান্য জ্ঞানের আলোকে বইটির উল্লেখযোগ্য কিছু ভুল চোখে পড়েছে। যেমন-
প্রথম টপিকে লেখক সূরা বাকারার ২২৩ নাম্বার আয়াতের যে ব্যাখ্যা দিয়েছে সেখানে একটা মোটা ভুল করেছেন তিনি। তিনি এই বিষয়টা এখানে স্পষ্ট করেন নি যে, স্ত্রী'র সাথে পায়ু পথে সঙ্গম করা হারাম যা প্রত্যেকেটা তাফসিরে এই আয়াতের ব্যাখ্যায় উল্লেখ আছে। বরং এই জঘণ্য কাজের জন্য আল্লাহ একটি জাতিকে ধ্বংস করে দিয়েছে যা কোরানে উল্লেখ আছে।ফলে এই ভুলটি অনেকের মাঝে ছড়িয়ে পড়েছে।
(কেউ ইচ্ছে করলে এই আয়াতটির তাফসির
এপ্স 'কোরআন মাজিদ' থেকে পড়ে নিতে পারেন।)
দ্বিতীয় টপিকে লেখক মাওলানা আকরাম খাঁ'র 'মোস্তফা চরিত' গ্রন্থটিকে হাইলি প্রমোট করেছেন। এমনভাবে বলেছে ওটিই একমাত্র পৃথিবীর অদ্বিতীয় সিরাত! কিন্ত প্রজ্ঞাবান আলেমরা এই গ্রন্থের উপর অনেক অভিযোগ করেছেন।
তৃতীয় টপিকে লেখক দাঁড়ি আর চুলে মেহেদি লাগানোকে শৌখিন বলেছেন। যা হাদিসে রাসূল সা. নিজেই সাদা চুলকে মেহেদি লাগানোর নির্দেশ দিয়েছেন।
এখানেও কিছু অস্পষ্ট বিষয় আছে যা অবশ্য সচেতন মুসলিমের জানা থাকা অপরিহার্য।
৪৫ পৃষ্টায় তিনি হাদিসের রেফারেন্স দিয়ে বলেছেন,ধর্মে জোরজবরদস্তি নেই।কিন্তু হাদিসে এর বিপরীতে বলা আছে, আমি তাদের বিরুদ্ধে ততক্ষণ পর্যন্ত যুদ্ধ করবো যতক্ষণ না তারা এক আল্লাহর স্বীকৃতি না দেয়। সুতরাং কখন ধর্মে জোর করা নেই আর কখন বাধ্যবাধকতা আছে তা তিনি এখানে স্পষ্ট করেন নি।
ষষ্ঠ টপিকের আলোচ্য বিষয়ের তিনি খুব সুন্দর একটা ব্যাখ্যা দিয়েছেন।সত্য আর মিথ্যা স্পষ্ট করেছেন। কিন্তু স্যাটানিক ভার্সেস লিখা লেখকদের জন্য ইসলামে যে একটি কঠোর শাস্তির বিধান আছে তা লেখক এখানে উল্লেখ করে নি। তা গল্পে না এনে চাইলে ফুটনোট আকারেও দেয়া যেতো।
'লেট দেয়ার বি লাইট' গল্পে লেখক মতি সম্পর্কে একটি প্রেমের ইঙ্গিত দিয়েছে যা অকাম্য ইসলাম সম্পর্কিত বই হিশেবে।আর এই সম্পর্কে ইসলামের দৃষ্টিভঙ্গি কি তাও ব্যক্ত হয় নি।
লেখকের আরেকটি সবচেয়ে বড় ত্রুটি হলো বইটি কোনো প্রজ্ঞাবান আলেম দ্বারা শরিয়া সম্পাদনা না করা কিংবা যদি কেউ করে থাকে তবে বইতে তারও নামের উল্লেখ না থাকা।
গ্রন্থটি নাস্তিকেরা যত বেশি পড়ে না আস্তিকেরা তত বেশি পড়ে।এজন্য ইসলামের বিধিবিধানসমূহ স্পষ্ট হওয়া জরুরি কেননা যার পরিচিতি যতদূর তার বার্তাও ততদূর পৌঁছায়।আর এটা সঠিক হলে কল্যাণকর আর ভুল হলে ক্ষতিকর।
লেখক ভাই আরিফ আজাদ একজন উদীয়মান বিখ্যাত তরুণ লেখক। হয়তো আলোচ্য বইতে উনার যা ভুল হয়েছে তা অনিচ্ছাকৃত। লেখকের আরেকটি গুণ ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি।তিনি বইয়ের 'লেখকের কথা'য় বলেছেন- কেউ ভুল ত্রুটি উল্লেখ করে জানালে তিনি সংশোধন করে নিবেন।আমিও আশাকরি লেখক বইয়ের পরবর্তী সংস্করণে কোনো প্রজ্ঞাবান আলেম দ্বারা সম্পাদনা করে প্রকাশ করবেন আর ইতিমধ্যে পাঠক মাঝে ছড়িয়ে যাওয়া ভুলগুলো নিয়ে সামাজিক সাইটে সংশোধনী বার্তা দিবেন।
প্যারাডক্সিক্যাল সাজিদ পড়েছে তারা তো অবশ্যই সংগ্রহ করছে দ্বিতীয় খণ্ডটি। কিন্তু যারা প্রথমটি পড়ে নি তারাও চাইলে দ্বিতীয় খণ্ডটি পড়তে পারে কোন সমস্যা ছাড়াই। বিশ্বাসের আলোতে চলুন আরও একবার উদ্ভাসিত হই।
#kureghor.com.bd
#Read_to_Lead

Post a Comment

Previous Post Next Post